মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন
বরিশালে পেয়াজের বাজার মনিটরিং এর পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট অভিযানে ০২ টি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা
বরিশালের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন বরিশালের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আলী সুজা এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। আজ সকাল ১১ টায় অভিযানকালে নতুন বাজার এলাকায় অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রয় ও পরিবেশন এবং বিক্রেতা কর্তৃক অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা ক্রেতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানীর সম্ভাবনা থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় আলাউদ্দিন সুইটস এন্ড রেস্টুরেন্টকে ১০.০০০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। পাশাপাশি নথুল্লাবাদ এলাকায় কস্তুরী রেস্টুরেন্টকে একই ধারায় ১৫.০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। অধিকন্তু নগরীর পোর্ট রোড এলাকার পেঁয়াজ পট্টিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাইকারি বিক্রেতার ক্রয় এবং বিক্রয় রসিদ পর্যবেক্ষণ করা হয়। পাইকারী ও খুচরা ক্রয়মূল্য এবং বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য সন্তোষজনক দেখা যায়। এ সময় পাইকারী এবং খুচরা বিক্রেতাদের অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় এবং ক্রয় ও বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ করতে বলা হয়।অভিযানে সহায়তা করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী সুজা জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামে বাল্যবিবাহ বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জনাব মোঃ আমীনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট,বাবুগঞ্জ, বরিশাল। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালীন বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামে মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার এর অপ্রাপ্ত বয়স্কা কণ্যা মোসাঃ মুনিয়া আক্তার (১৬) এর বাল্যবিবাহ এর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্টসহ জনাব মোঃ আমীনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বাবুগঞ্জ, বরিশাল উপস্থিত হলে দেখতে পান যে, বাল্যবিবাহ উপলক্ষে শত শত মেহমান উপস্থিত হয়েছেন এবং আজই অপ্রাপ্ত বয়স্কা এ মেয়েটির বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হবে। এ বিয়ের কণে মোসাঃ মুনিয়া আক্তার এর জন্ম নিবন্ধন মোবাইল কোর্টের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে চাইলে একটি জাল জন্ম নিবন্ধন মুনিয়ার পিতা মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও মাতা রেবা বেগম প্রদর্শন করেন। এ জন্ম নিবন্ধনটি অন-লাইনে যাচাই করে এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি। মোবাইল কোর্ট চলাকালীন মুনিয়ার পিতা-মাতা স্বীকার করেন যে, তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্কা কণ্যা মোসাঃ মুনিয়া আক্তারকে বাল্যবিবাহ দেয়ার উদ্দেশ্যেই তারা এ জাল জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করেছেন। মোবাইল কোর্টে তারা স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে বাল্যবিবাহ আয়োজনের জন্য কৃত অপরাধ স্বীকার করায় বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও রেবা বেগমকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। তারা তাৎক্ষণিক অর্থদণ্ড পরিশোধ করায় তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
বাল্যবিবাহের কণে মোসাঃ মুনিয়া আক্তার, তার পিতা মোঃ আঃ ছত্তার হাওলাদার ও মাতা রেবা বেগম এর নিকট হতে বাল্যবিবাহ নিরোধ বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মুচলেকা গ্রহণ করা হয়েছে। এ মুচলেকায় তারা অঙ্গীকার করেছেন যে, মোসাঃ মুনিয়া আক্তার এর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তার বিবাহ সম্পন্ন করবে না। এ সময় সকল মেহমানকে আয়োজিত বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট স্থান ত্যাগ করার জন্য বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দিলে তারা সকলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। মোবাইল কোর্ট চলাকালীন বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আকন, রহমতপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জনাব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে বিবাহের প্যান্ডেল ও অন্যান্য স্থাপনা তাৎক্ষণিক অপসারণ করা হয়।
এখানে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী চলাকালীন বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, নিয়মিত মাস্ক পরিধান করা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করার জন্য জনাব মোঃ আমীনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বাবুগঞ্জ, বরিশাল উপস্থিত সকলকে অনুরোধ করেন।
মোবাইল কোর্টকে আইনানুগ সহযোগিতা করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমানবন্দর থানার এস. আই জনাব মোঃ জামাল হোসেনসহ পুলিশ ফোর্স।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আমীনুল ইসলাম জানান যে, জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের এ অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে। বাল্যবিবাহ বন্ধে মোবাইল কোর্টের আইনানুগ কার্যক্রমে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।